প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে একটা অপূর্ণতা থেকে যাবে, নির্বাচনটা খুব ভালোভাবে অংশগ্রহণমূলক হবে না। নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক সব দল অংশগ্রহণ করুক।

তিনি বলেন, অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে একটা সংসদ গঠিত হোক এবং সংসদের মাধ্যমে একটা সরকার গঠিত হোক। তাহলে দেশের গণতন্ত্র এবং নির্বাচন ব্যবস্থা আরও সুসংহত হবে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে বরিশালের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনো দলকে আমরা জোর খাটিয়ে নির্বাচনে আনতে পারব না। বিএনপিকে আমরা সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছিলাম, তারা আসেনি। আমাদের ওপর অনাস্থা রয়েছে তাদের, সরকারের ওপরও অনাস্থা রয়েছে, যেটা সরাসরি বলেনি ও পত্রিকায় দেখেছি।

বিএনপির যে নির্বাচনে আসা উচিত সেটা কিন্তু সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস বিএনপি যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সে বিষয়ে সরকারেরও সচেতনতা আছে, একটা বোধ আছে। আমরা চাই নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ।

সিইসি বলেন, ভারত আর আমাদের দেশের ইভিএম মেশিন এক নয়। তবে সেটাও খারাপ নয়। আর আমাদের দেশের মেশিনে একজনের ভোট অন্যজনের দেওয়ার সুযোগ নেই। ইভিএম ভালো না খারাপ সেটা আমি বলবো না। আমাদের ইভিএমে ভোট না দিয়ে ফিরে গেছে এমন কোনো ঘটনা নেই।

এমন হতে পারে যে আঙুলের ছাপ না মেলায় দেরি হচ্ছে বা মেশিন স্লো কাজ করছে। আমাদের সামর্থ্য আছে ৩০০ আসনে ব্যালটে ভোট গ্রহণের, আর ইভিএম পেলে ভালো। সরকার ইভিএম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, এখন পর্যন্ত ইভিএম নিয়ে আমরা তেমন কোনো অভিযোগ পাইনি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কিছু সংকট থাকবেই, আবার কোনো সংকট থাকবে না যদি আমরা ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিতে পারি এবং ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারি।

এর আগে মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাচন কমিশনের আইডিইএ প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সঞ্জয় কুমার কুন্ডু, জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম প্রমুখ।